ফরিদগঞ্জ সরকারি কলেজ প্রতিষ্ঠার পর এবছর প্রথমবারের মতো আয়োজিত হলো বসন্ত বরণ ও পিঠা উৎসব।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারী-২০২৫) ফরিদগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে দিন ব্যাপি এই বসন্ত বরণ ও পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়।
কোনটির নাম ‘হ্যাং ওভার’ আবার কোনটির নাম “সিঙ্গেল” এমন বাহাড়ি নাম ও ভিন্ন স্বাদের শতাধিক পিঠার সমাহার সাজিয়ে বসেছে শিক্ষার্থীরা। শুধু পিঠার নামেই বৈচিত্র্যতা নয়, প্রতিটি পিঠার স্ট্রলেরও ছিলো দৃষ্টিকাড়া ভিন্ন রকম সব নাম। শীতকালীন পিঠার পাশাপাশি গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া পিঠাগুলোকে পরিচয় করিয়ে দিতে ফরিদগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত হয় দিন ব্যাপি এই পিঠা উৎসবের।
শিক্ষার্থীদের নিজেদের হাতে বানানো হরেক রকমের পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেছিলো প্রতিটি স্টলে। মিষ্টি স্বাদের নানান রকমের এসব পিঠার পাশাপাশি কয়েকটি স্ট্রলে দেখা মিলেছে ভিন্ন রকমের কেক এবং চটপটি ও ফুসকার। উৎসবে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে প্রায় প্রতিটি স্ট্রলেই স্থান পেয়েছে বিশেষ লেখা সম্বলিত পোস্টার।
বাহারি নামের নানা রকমের পিঠার স্বাদ নিতে পুরো দিনব্যাপী মেলার স্ট্রল গুলোতে দর্শনার্থীদের ভিড় লেগেই ছিলো। উৎসবের আমেজে পছন্দের পিঠাটি হাতের কাছে পেয়ে আনন্দিত ক্রেতারা। বাড়ি থেকে বানিয়ে আনা এসব পিঠাগুলো প্রত্যাশা অনুযায়ী বিক্রি করতে পেরে সন্তুষ্টির কথা জানান বিভিন্ন স্ট্রলের পিঠা বিক্রি করা শিক্ষার্থীরা।
আয়োজকরা জানান গ্রাম-বাংলার অনেক ঐতিহ্যবাহী পিঠা হারিয়ে যেতে বসেছে। বাঙ্গালীর ঐতিহ্যকে মনে করিয়ে দিতে এবং হরেক রকমের পিঠার সাথে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিতে এমন আয়োজন। উৎসবটি শিক্ষার্থীরা দারুন ভাবে উপভোগ করছে। উৎসবকে কেন্দ্র করে বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীসহ সকলের সরব উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো কলেজ ক্যাম্পাস।
ফরিদগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ শাহ মো: মাছুম বিল্লাহ্ জানান, বসন্ত বরণ ও পিঠা উৎসবকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের এমন সুন্দর পরিবেশনা ও উপস্থাপনা আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমাদের শিক্ষার্থীরা সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের প্রতি অনেক আগ্রহী এই আয়োজন তারই দৃষ্টান্ত। আমি অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদানের পর কলেজের ইতিহাসে এই প্রথম এমন কোন আয়োজন করতে পেরে আমি আনন্দিত। বসন্ত বরণ বাঙালির একান্তই নিজস্ব সংস্কৃতি। এই অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা যেন এসব উৎসবের সাথে পরিচিত থাকে সেজন্য নিয়মিত এমন আয়োজনের প্রচেষ্টা থাকবে। কলেজ ক্যাম্পাসে সাংস্কৃতি চর্চার এমন আয়োজন শিক্ষার্থীদের সকল অপসংস্কৃতি থেকে দূরে রেখে শিক্ষামুখী করে তুলবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
মন্তব্য করুন