চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম (৫৫) হত্যায় জড়িত সন্দেহে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও একটি দেশীয় তৈরি বন্দুকসহ কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাত আড়াইটার দিকে বাগোয়ান ইউনিয়নের গরিবউল্লাহপাড়ার একটি বাড়ি থেকে দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও একটি দেশীয় তৈরি বন্দুকসহ কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- আরাফাত মামুন (৪৮) ও বিপ্লব বড়ুয়া (৩৫)। তারা এলাকায় যুবদল কর্মী হিসেবে পরিচিত।
গ্রেপ্তার দুইজনই উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের বাসিন্দা। গ্রেপ্তার আরাফাত মামুন নিজেকে যুবদলের নেতা হিসেবে এলাকায় পরিচয় দেন। ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর চট্টগ্রাম উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকারের ছবি দিয়ে এলাকার বিভিন্ন সড়কে তোরণ নির্মাণ ও পোস্টার ছাপিয়ে প্রচারণাও চালিয়ে আসছেন। তবে যুবদলে তার কোনো পদ-পদবি নেই বলে জানিয়েছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
গ্রেপ্তার বিপ্লব বড়ুয়াও যুবদলের রাজনীতিতে সক্রিয়। তিনি আরাফাত মামুনের অন্যতম সহযোগী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার আরাফাত মামুনের বিরুদ্ধে এলাকায় চাঁদাবাজি, দলের প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীদের ওপর গুলি-হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে কমপক্ষে সাতটি মামলা রয়েছে। এর আগে তাদের ধরতে যৌথ বাহিনী একাধিকবার অভিযানও পরিচালনা করেও ব্যর্থ হয়।
রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম হত্যার ঘটনায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে দুটি অস্ত্র এবং কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের নিয়ে আমাদের আরও অভিযান চলমান আছে।
গত ২৪ জানুয়ারি রাউজান নোয়াপাড়া ইউনিয়নের নিরামিষপাড়ায় জুমার নামাজ পড়তে মসজিদে যাওয়ার পথে ব্যবসায়ী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ছেলে মাকসুদ আলম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলায় পুলিশ এ পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। তিনজনই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
মন্তব্য করুন