পরিবেশ দূষণ করে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে অবৈধ ইটভাটা এস্কেভেটর (ভেকু) দিয়ে সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে দিয়েছে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর। রোববার (৯ মার্চ ) যৌথ বাহিনীর সহযোগিতায় দিনভর যৌথ উদ্যোগে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে উপজেলার ৩টি অবৈধ ইটভাটা সম্পূর্ণ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।
ইটভাটাগুলো হচ্ছে, ফরিদগঞ্জ উপজেলার টুবগী এলাকার মৈসার্স টুবগী ব্রিকস, মেসার্স মানিক রাজ ব্রিকস ও ভঙ্গেরগাঁও ব্রিকসকে ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়। এছাড়া নতুন করে যাতে আর ব্রিকস তৈরি না পারে তার জন্য মৌখিক সতর্ক করে দেয়া হয়।
জানা গেছে, ইটভাটা গুলো পরিবেশগত ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসকের লাইসেন্স ছাড়াই দীর্ঘ কয়েক বছর পরিবেশ দূষণ করে পরিচালিত হয়ে আসছিল। নিয়মনীতি মেনে ভাটা পরিচালনা করার বিধান থাকলেও এ সকল ভাটা মালিক নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনা করে আসছেন। ফলে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে ইটভাটাগুলো গুঁড়িয়ে দিচ্ছে।
অভিযানে পরিচালনা করেন, চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকারিয়া হোসেন, জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান। এছাড়াও সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা অভিযানে অংশ নেয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ৯১ টি ইটভাটার মধ্যে ৪১টি অবৈধ চিহ্নিত করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবগুলো ইটভাটা ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হবে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকারিয়া হোসেন বলেন, এসব ব্রিক ফিল্ডের অনুমোদিত কোনো লাইসেন্স এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই। এ কারণে ব্রিক ফিল্ডগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন