বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, দেশের উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়র তথা জনপ্রতিনিধি শূন্য রয়েছে। তাই জনদুর্ভোগ কমাতে স্থানীয় নির্বাচনের পরেই জাতীয় নির্বাচন দিন। কারন দেশে এখন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি শুণ্য, তাই আগে স্থানীয় নির্বাচন দিয়ে জনদুর্ভোগ কমাতে হবে। তার পরে আংশিক সংস্কার শেষে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। অন্তবর্তী সরকারকে আমরা প্রস্তাব দিয়েছি স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে হবে। এসব কোন সংসদ সদস্যদের কাজ নয়। তাদের কাজ আইনসভা, দেশ পরিচালিত করা। যারা আইন বুঝেন এমন লোক দিয়ে পেয়ারের নির্বাচন করতে হবে।
এর আগে একটি ফ্যাসিবাদ সরকার ছিল যারা মানুষকে মানুষ মনে করতো না। তারা ভেবেছে সারাজীবন ক্ষমতা আকড়ে ধরে রাখবেন। আল্লাহ তায়লা তা হতে দেয়নি। তারা সামান্য বিষয়ে মানুষকে উপহাস করতো। কি করেছো কোরানের বিরুদ্ধে, আলেম ওলামাদের বিরুদ্ধে, সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে। আমাদের দলের নেতাকর্মীদের কথায় কথায় জেলে দিতো। আজ তারা পালিয়েছে। কিন্তু আমরাতো যেতে বলিনি।
আওয়ামী লীগের আমলে এ দেশে বিচার বিভাগ কূলশীত করেছে। সেই এক কুলাঙ্গার কালা মানিক নামে সাবেক বিচারপতি পালিয়ে গিয়েও বাঁচতে পারেনি। এরা মানুষকে অনেক জ্বালিয়েছে, সকল ঘুম, খুণের বিচার চাই। আল্লাহ যেন এদের বিচার করে।
দেশ থেকে ফ্যাসিবাদ গেলেও চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। এখন শুধু হাত বদল হয়েছে। এরা যেমন দখলবাজ ছিল তা আরেক গোষ্ঠীর হাতে চলে গেছে। আমরা বলতে চাই এমন কোন কাজ করবেন না যা শহীদদের মনে কষ্ট দেয়। আর চাঁদা দাবী করবেন না, দখলদারি করবেন না, আর মানুষকে কষ্ট দিবেন না। এসব ভিক্ষা নেওয়া বন্ধ করেন। আপনাদের মত আমরাও জেলে গিয়েছি, তাই বলে এসব করবেন না।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশটাকে সংস্কার করতে চায়। যা আল্লাহর দিন ও আখেরাতের মাধ্যমে দেশ পরিচালিত করতে চাই। যেখানে থাকবে কোরানের অনুসারী হয়ে জামায়াত চলবে। যারা তা মানেন না তারা দূরে থাকেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসলে সকলের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। আমরা একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।
ফ্যাসিবাদের দোষর এখনো রয়ে গেছে। আমাদের নেতা মজলুম আজহারুল ইসলামকে জেলে রেখেছে। হয় তাকে ছাড়েন আর না হয় আমিসহ ৩ কোটি মানুষকে জেলে ডুকান।। বাংলাদেশকে একটি শান্তির পথে নিয়ে যেতে আমাদের যুদ্ধ চলবে।
২২ জানুয়ারি শনিবার বিকালে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বিশ্বরোডে বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা নায়েবে আমীর এড. মাসুদুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি এড. শাহজাহান মিয়ার সঞ্চালনায় কেন্দ্রীয় আমীরের আগমনের পূর্বে বক্তব্য রাখেন, জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর আব্দুর রহিম পাটোয়ারী, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মো. মোবারক হোসাইন, সহকারী সেক্রেটারী অধ্যাপক মাও. আবুল হোসাইন, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মীর হোসাইন, হাজীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর মো. কলিম উল্লাহ ভূঁইয়া, নায়েবে আমীর মোজাম্মেল হোসেন পরান, পৌর জামায়াতের আমীর আবুল হাসানাত পাটোয়ারী, নায়েবে আমীর মাওলানা কবির হোসাইন ও সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম, জেলা ছাত্র বিরের সভাপতি ইব্রাহিম খলিল, সাবেক সভাপতি ও চেয়ারম্যান মাওলানা আবু জাফর সিদ্দিকী প্রমুখ।
মন্তব্য করুন